আর্জেন্টিনার সঙ্গে সাম্পাওলির চুক্তির মেয়াদ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত। এখনই তাকে অপসারণ করলে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আগামী বছরের কোপা আমেরিকা শেষে অঙ্কটা কমে আসবে। আর্জেন্টিনা ফুটবল এখন এতটাই আর্থিক সংকটে যে কিছুদিন খবর প্রকাশিত হয় স্বয়ং লিওনেল মেসি কর্মীদের বেতন দেন। এই সংকট মেটাতে বিতর্ক হতে পারে জেনেও ইসরাইলে প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছিল এএফএ।
২০১৫ সালে চিলিকে কোপা আমেরিকা জেতান সাম্পাওলি। গত বছর সেভিয়ার চাকরি ছেড়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে নিজ দেশের কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। এর জন্য তাকে সেভিয়াকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও পরিশোধ করতে হয়েছিল। কিন্তু প্রথম পরীক্ষায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি ৫৮ বছর বয়সী সাম্পাওলি। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয় মেসির আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বেই অনেক চড়াই উতরাই পেরোতে হয় গত আসরের রানার্সআপদের।
ভরাডুবির পেছনে সাম্পাওলির কৌশলকেই দায়ী করা হয়। দলের কম্বিনেশনটাই ঠিক করতে পারেননি তিনি। প্রতিটি ম্যাচেই চালিয়েছেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চার ম্যাচেই ভিন্ন ফরমেশনে দল সাজান সাম্পাওলি। এক ম্যাচেও অভিন্ন একাদশ রাখেননি। এখন তাকে সরিয়ে দিতে হলে এএফএ’র হাতে দুইটি পথ খোলা। ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিদায় করা নতুবা এমনভাবে চাপ তৈরি করা যেন সাম্পাওলি নিজে থেকেই সরে দাঁড়ান।
আবার এএফএ’র একটি অংশ মনে করে, গত দুই বছরে তিনবার কোচ বদলানোর আর্জেন্টিনার এবার একটু থিতু হওয়া দরকার। সাম্পাওলি নিজেও অবশ্য যথেষ্ট সময় পাননি। এদগার্দো বাউজার স্থলাভিষিক্ত হন যখন তখন আর্জেন্টিনা বাছাইপর্বে ধুঁকছিল। চুক্তির সময়ই সাম্পাওলি এএফএ’কে শর্ত দিয়েছিলেন তাকে কোচ করাতে হবে ২০২২ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কাতার বিশ্বকাপ ঘিরেই মূল পরিকল্পনা সাজাতে চান। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সাম্পাওলির পছন্দের কোচদের বয়সভিত্তিক দলগুলোর দায়িত্ব দেয় আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা। সাম্পাওলির অধীনে আর্জেন্টিনা জয়ের শতকরা হার ৪৬.৬৭ শতাংশ। ১৫ ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে জয়, সমান চার ম্যাচে ড্র ও হার দেখে আলবিসেলেস্তেরা।