ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর রেফারি মার্ক গেইগারের কড়া সমালোচনা করে ফ্যালকাও বলেন, আমার কাছে খুবই অদ্ভুত লেগেছে এই ম্যাচে তারা (ফিফা) একজন আমেরিকান রেফারি নিয়োগ দিয়েছে। এই প্রক্রিয়াটাই তো অনেক বেশি সন্দেহের জন্ম দেয়। কারণ, তিনি শুধু ইংরেজিতেই কথা বলতে পারেন। যে কারণে অনেকগুলো নিশ্চিত পক্ষপাতিত্ব করেছেন। এমনকি একটি ছোট কারণেই তিনি আমাদের জালে বল জড়িয়ে দেয়ানোর মত সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেছেন। এটাই এখন আমার কাছে পরিষ্কার।
ইংল্যান্ড-কলম্বিয়ার ম্যাচে মোট ৩৬টি ফাউল হয়েছে। যার ২৩টিই কলম্বিয়ার বিপক্ষে গেছে। এছাড়া মোট ৮টি হলুদ কার্ডের প্রয়োগ ঘটান রেফারি। যার মধ্যে ৬টিই দেখানো হয়েছে কলম্বিয়ার ফুটবলারদের।
শেষ পর্যন্ত রেফারির এক সিদ্ধান্তই কলম্বিয়াকে পিছনে ফেলে দেয় অভিযোগ করে ফ্যালকাও বলেন, ৫০-৫০ সিদ্ধান্তগুলো আমাদের বিপক্ষে দিয়েছেন রেফারি। তিনি সব সময়েই ইংল্যান্ডের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেটা আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে। তিনি দুই দলের সঙ্গে সমান আচরন করেননি।
শুধু রাদামেল ফ্যালকাওই নন, কলম্বিয়া কোচ হোসে পেকারম্যানও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রেফারির দিকে।
গেইগারের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের অভিযোগ এই প্রথম নয়। গ্রুপ পর্বে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচের পর মরক্কোও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। ম্যাচের বিরতির সময় যুক্তরাষ্ট্রের এই রেফারি পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কাছে জার্সি চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন দেশটির মিডফিল্ডার নর্দিন আমরাবাত।