বিসিবির তাহলে কাজটা কী!

নাজমুল হোসেনের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসাবে মেহেদী হাসান মিরাজের নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলংকা যাওয়ার একদিন আগে হঠাৎ ওয়ানডে নেতৃত্ব হারান নাজমুল। তার ক্ষোভ ও অভিমান সেখান থেকেই।

শ্রীলংকা সফরে গল টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি করে নাজমুল বিসিবিকে জানিয়ে দেন তিনি টেস্টে অধিনায়ক থাকতে চান না। তারপরও এই কদিনে বিসিবি সেভাবে নাজমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শনিবার কলম্বো টেস্টে ইনিংস হারের পর সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল জানালেন, তিনি আর টেস্ট অধিনায়ক নন। জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, বিসিবির দায়িত্বটা তাহলে কী?

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল যখন রংপুরে টেস্ট দলের মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছেন, তখন কলম্বো টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আর ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য বিমানবন্দরে ক্রিকেটাররা। এই সময়েই নাজমুল সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিলেন, তিনি আর নেতৃত্বে নেই।

বিসিবি সভাপতি যখন বলছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে আমি ছুটে বেড়াচ্ছি, তখন জাতীয় দলই ঠিকঠাক নেই। কাল বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখানে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ আছে, কোচ, ম্যানেজার, নির্বাচকরা আছেন। তাদের কাজ এটা। তারা যদি কখনো মনে করেন, আমাকে কাজে লাগাবেন, অবশ্যই আমি সাহায্য করব।’

টিম ম্যানেজমেন্ট সামলানোর দায়িত্ব ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের। এই বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘নাজমুলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমার ধারণা ছিল সে নেতৃত্ব ছাড়লেও আজ (শনিবার) ছাড়বে না। তার নেতৃত্বগুণ আমি কাছ থেকে দেখেছি। দারুণ লিডার। তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। সে না থাকলেও তার যে কাজ সেটা সে ভালোভাবেই করবে বলে আশা করছি।’

কেন অধিনায়কত্ব ছাড়লেন নাজমুল? নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘এ নিয়ে তার নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে। টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া তার হয়তো ভালো লাগছে না। এজন্যই হয়তো এই সিদ্ধান্ত। তাকে মানসিকভাবে সমর্থন দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার বলেন, ‘শান্তর সঙ্গে আলোচনা করে ওয়ানডে অধিনায়ক পরিবর্তন করলে এমনটা হয়তো হতো না। আলোচনা করলে নাজমুল নিজেকে সম্মানিতবোধ করত। এটা না করতে পারলে বিসিবির দায়িত্বটা কী?’