অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে না উঠতে এবং লঞ্চের ছাদে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। খারাপ আবহাওয়ায় লঞ্চ না চালাতে এবং ঈদের সময় লঞ্চে বেশি ভাড়া না নিতে লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনের সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
শাজাহান খান বলেন, ‘নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে যাতায়াতের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যাত্রীদের যাতায়াত আনন্দময় হবে। যাত্রী, নৌযান মালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনার ফলে বিগত চার বছরে বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সদরঘাটে হকারমুক্ত সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টির কোনও ধরনের উৎপাত নেই। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে সরকারের আন্তরিকতার কারণে। ঈদের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। যাত্রীদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নৌযানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই।’
ঢাকা সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চে যাতায়াতের সুবিধায় ২০টি পল্টুন রয়েছে। সদরঘাটের এক নম্বর টার্মিনাল ভবনের পূর্বদিকে লালকুঠি ও শ্যামবাজার পর্যন্ত পল্টুন এলাকা বাড়ানো হয়েছে এবং পার্কিং ইয়ার্ড করা হয়েছে।
পরে নৌমন্ত্রী টার্মিনাল ভবন-২-এ নবনির্মিত মসজিদ ও ঢাকা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয় উদ্বোধন করেন।