যশোর কোতয়ালি থানার এসআই সুজিত সাত মাদকসেবীকে আটক করে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গভীর রাতে যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর সারথী মিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিভিল টিমের দারোগা সুজিত তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো- সারথি মিলের পাশে কায়েমের ছেলে শাহিন, তার ভাইপো আশরাফুলের ছেলে রবি, আশার ছেলে সজল, কাদেরে ছেলে আল-আমিন, রসুলের ছেলে টুকুল, ওমর আলীর ছেলে মনি এবং একই এলাকার শাহিন।
বিরামপুর এলাকাবাসী জানান, কোতয়ালি থানার সিভিল টিম ১৫ এ এসআই সুজিত শুক্রবার রাত আড়াই টার দিকে প্রথমে ওমর আলী ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মনির বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তার বাড়ির আশবাবপত্র ভাংচুর করে মনিকে আটক করে। পরে এক এক করে শাহিন, রবি, সজল, আল-আমিন, শাহিন ও টুকুলকে আটক করে। কায়েমের ছেলে শাহিনের বাড়ি থেকে পুলিশ ওই রাতেই ৭ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করে।
গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এসআই সুজিতের টিমের সহকারি দারোগারা দেনদরবার করে মাদক ব্যবসায়ী মনির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর শাহিনের পিতা কায়েমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে তাকেও ছেড়ে দেয়। এভাবে রবির কাছ থেকে ১৫ হাজার, সজলের কাছ থেকে ১৪ হাজার আল আমিনের কাছ থেকে ২০ হাজার, শাহিনের ও টুকুলের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আটককৃতরা অনেকেই মাদক সেবন করে। কিন্তু মনি ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করে না। পুলিশ তাদেরকে গণহারে আটক করে টাকার জন্য প্রথমে তাদেরকে মানসিক নির্যাতন করে। তাতেও কাজ না হলে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানায়। এভাবে সিভিল টিমের এসআই সুজিত টাকা আদায় করছে।
এলাকাবাসী পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।