শুরু হয়ে গেছে আইপিএলে খেলোয়াড়দের দলবদলের মৌসুম। দলগুলোর হাতে রয়েছে পুরোনো খেলোয়াড়দের ধরে রাখার সুযোগ। আবার চাইলে ছেড়ে দেওয়া যাবে যেকোনো খেলোয়াড়কে। শুরুতেই যে নামগুলো এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার আকিলা দনাঞ্জয়া, বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবং প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। তবে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ডি কককে দলে নিতে কাটার-মাস্টারকে ছেড়ে দিয়েছে মুম্বাই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেকে চার লাখ ৩৭ হাজার ডলারের বিনিময়ে ডি কককে দলে এনেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। অবশ্য গত বছর একই মূল্যে বেঙ্গালুরুতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁকে দলে নিতে ২.২ কোটি রুপিতে দলে আনা মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে আনা আকিলা দনাঞ্জয়াকে ছেড়ে দিয়েছে মুম্বাই।
গত বছর এভিন লুইসকে দলে নিয়েছিল মুম্বাই। তবে দলকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে পারেননি তিনি। এজন্য আইপিএলে ৩৪ ইনিংসে ৯২৭ রান করা কককে দলে এনেছে মুম্বাই। যদিও ইশান কিশান ও আদিত্য তারের মতো উইকেটরক্ষক মুম্বাই দলে রয়েছেন।
আইপিএলের প্রথম আসরেই চমক দেখিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ২০১৬ সালে ১৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। দলকে এনে দিয়েছিলেন আইপিএল বিজয়ের খেতাব। পরের আসরে অবশ্য মাত্র এক ম্যাচ খেলতে পেরেছেন এই বাঁহাতি পেসার। অবশ্য গত বছর মুম্বাইয়ে যোগ দিয়ে খুব একটা সাফল্য পাননি। সাত উইকেট পেয়েছিলেন কাটার-মাস্টার। তুলনামূলকভাবে অনেকটা অনুজ্জ্বল ছিলেন তিনি।
২০১৯ সালের জন্য আইপিএল দলবদলের সময়সীমা নভেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। তবে দলছাড়া হলেও মুস্তাফিজের জন্য খুব হতাশার কিছু নেই। কারণ, ইতিমধ্যে বিসিবি তাঁর ওপর বিদেশি ক্রিকেট লিগগুলোয় খেলতে যাওয়ার ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মূলত সাসেক্সে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে অনেকদিন ভুগেছিলেন মুস্তাফিজ। তাই বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত। হয়তো এই কারণেই মুস্তাফিজকে ছেড়ে দিয়ে কককে দলে এনেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।