গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা যেন থামছেই না। নিয়মিত ড্রোন হামলায় লাশের মিছিল ক্রমেই বড় হচ্ছে গাজায়। সে মিছিলে এবার যোগ দিলেন ফিলিস্তিনের ফুটবলার মুহান্নাদ আল-লিলি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের ফুটবল ফেডারেশন।
ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুটবল সংস্থা পিএফএর বরাত দিয়ে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে বিষয়টি। ইসরাইলি বিমান হামলায় আহত ফিলিস্তিনি ফুটবলার মুহান্নাদ আল-লিলি বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।
মধ্য গাজার মাজাজি শরণার্থী শিবিরে নিজ বাড়িতে ছিলেন তিনি। সোমবারের এক হামলায় গুরুতর আহত হন মুহান্নাদ। পিএফএর তথ্য অনুযায়ী, একটি ড্রোন তার তৃতীয় তলার শোবার ঘরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে তার মাথায় গুরুতর আঘাত ও রক্তক্ষরণ হয়। কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুহান্নাদ আল-লিলি গাজা ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ, তার স্ত্রী ইসরাইলের গাজায় হামলার আগে কাজের জন্য নরওয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপদে গাজা ছাড়তে না পারায় তিনি নিজের সদ্যোজাত ছেলের মুখ দেখার সুযোগ পাননি। তার সন্তান যুদ্ধ চলাকালে বিদেশে জন্ম নেয়।
মুহান্নাদ তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন খাদামাত আল-মাজাজি ক্লাবে। তিনি জুনিয়র দলে খেলে বড় হয়ে ২০১৬/২০১৭ মৌসুমে সিনিয়র দলকে প্যালেস্টাইন প্রিমিয়ার লিগে উন্নীত করেন। পরে তিনি শাবাব জাবালিয়া দলে যোগ দেন এবং ২০১৮/২০১৯ মৌসুমে দলকে রানার্সআপ করতে সাহায্য করেন।
পরবর্তীতে গাজা স্পোর্টস ক্লাবে খেললেও হাঁটুর গুরুতর ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে চলে যান। এরপর নিজের পুরনো ক্লাব খাদামাত আল-মাজাজিতে ফিরে আসেন।
পিএফএর তথ্যমতে, মুহান্নাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ইসরাইলি হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনি ফুটবলারের সংখ্যা বেড়ে ২৬৫-এ পৌঁছেছে।