খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল: বিএসএমএমইউ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট স্থিতিশীল উল্লেখ করে যথাযথ চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের ছাড়পত্র দিয়েই তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসার পর খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে এক মাস চিকিৎসা দিতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি করিনি। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এই স্থিতিশীলতা ইতিবাচক।’

তাকে সুস্থ বলা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরাসরি এভাবে বলা যাবে না। তার বার্ধক্যজনিত রোগ আছে। তাই একেবারে সুস্থ বলা যাবে না। তবে তার শারীরিক অবস্থা ইতিবাচক অর্থে স্থিতিশীল। তাকে যথেষ্ট চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।’

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করাই আছে। যেকোনো সময় প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিতে এখানে আসতে পারেন তিনি। আর কারাগারে নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ তার ব্যবস্থা করবেন। তার সবগুলো এমআরআই রিপোর্ট সন্তোষজনক, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চলবে।’

বিএনপির অভিযোগ খালেদা জিয়াকে মেডিকেলের ছাড়পত্র না দিয়েই কারাগারে পাঠানো হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘ছাড়পত্রহীন কি পাঠানো যায়? ছাড়পত্র দিয়েই পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাকে আবারও চিকিৎসার জন্য আনা হবে। এটি কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’
হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ছয়তলার ৬১২নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ বছরের কারাদ- হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এর মধ্যে ওই মামলায় হাইকোর্টে তার সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়েছে। আরেকটি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত।