সিইসিকে নিয়ে যা বললেন রনি

গোলাম মাওলা রনি

মনে অনেক দুঃখ পেয়ে আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেছি। মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই বিএনপিতে। কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবনে এ আবেগের কথা বলেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিএনপিতে সদ্য যোগদানকারী সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি।

গোলাম মাওলা রনি বলেছেন- পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া শাহাজাদা সাজু সিইসি মুক্তিযোদ্ধা কে.এম নূরুল হুদার ভাগ্নে হলেও আমারও কম নয়। তিনি আমারও একজন অভিভাবক। ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার নির্বাচন কৌশলী ছিল এবং আমার বাসায় অন্তত ১৫ দিন বসবাস করে আমাকে র্নিবাচনী কাজে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন। গোলাম মাওলা রনি আরো বলেন আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পটুয়াখালী-৩ আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, কারণ এ আসন নিয়ে সারা দেশের মানুষের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আমার একটা পরিচিতি আছে।

বুধবার রাতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবনে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ধানের শীষ দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম মাওলা রনি একথাগুলো বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া এসএম শাহাজাদা সাজু সিইসির ভাগ্নে হলেও আমিও তার কাছে কম নই। তার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকেই পরিচয়। তখন তিনি সিইসি ছিলেন না। এখন তিনি সিইসি, তবে আমার কাছে তিনি একজন বীরমুক্তি যোদ্ধা ও ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা। তাই আমার নির্বাচনের মাঠে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পরার আশঙ্কা নাই। তবে আমার ধারণা তিনি আগের নূরুল হুদাই আছেন। জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি কোনো প্রকার বিতর্কিত হবেন না। এমন কি তার ভাগ্নের জন্যও না। কারণ তার ভিতরে সেই ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো এখনো বিরাজমান।

এ সময় সাংবাদিকরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সিইসিকে নিয়ে নেতিবাচন ধারণা রয়েছে এরকম প্রশ্ন করলে তিনি জবাবে বলেন, ড. কামাল ৩শ’ আসন নিয়ে ভাবেন, আর আমি একটি আসন নিয়ে ভাবি। তিনি একটি বিশাল সমুদ্রের জায়গায় অবস্থানরত। তার বুকে ভেসে যাওয়া আমি একটি চিনা বাদামের খোসা মাত্র। তার ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনার অমিল থাকতেই পারে। নির্বাচনী এলাকায় কবে যাবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতীক পাওয়ার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে এলাকায় যাবো। কারণ, পটুয়াখালী তিন আসনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।

এদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, গোলাম মাওলা রনি আমাদের দলে সদ্য যোগদান করেছেন। তাই তাকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নিলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম, সাংগঠনিক সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, দপ্তর সম্পাদক গোলাম রহমান এবং জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।