এবার নারীর জালে আরেকটি ট্রান্সমিশনযুক্ত কচ্ছপ

এবার নারী জেলের জালে ধরা পড়েছে আরেকটি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন লাগানো বিরল প্রজাতির বাটাগুড় কচ্ছপ।

শুক্রবার সকালে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের নলীয়ান এলাকার কালাবগী খাল থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়।

করমজল কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের স্টেশন ম্যানেজার আবদুর রব মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন লাগানো একটি কচ্ছপ উদ্ধর হয়েছিল। বর্তমানে কচ্ছপটি করমজল কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে।

আবদুর রব জানান, খুলনা রেঞ্জের নলীয়ান এলাকার কালাবগী খালে দুদিন আগে এক নারীর মাছধরা জালে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন লাগানো কচ্ছপটি আটকা পড়ে।

বৃহস্পতিবার রাতে কচ্ছপ আটকা পড়ার বিষয়টি জানতে পারি। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানানো হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কচ্ছপটি উদ্ধার করি।

তিনি আরো জানান, গবেষণার জন্য গত বছরের ২ অক্টোবর স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন লাগানো পাঁচটি বাটাগুড় কচ্ছপ সুন্দরবনের কালিরচরের সমুদ্রের মোহনায় ছাড়া হয়।

এদের মধ্যে দুটি কচ্ছপ মারা গেছে। দুটি জেলেদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। এখন মাত্র একটি কচ্ছপ সুন্দরবনে গবেষণায় সহযোগিতা করছে।

প্রসঙ্গত, একসময় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ পাওয়া যেত। তবে ধীরে ধীরে সংখ্যা কমতে থাকায় আইইউসিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের) এ প্রজাতিকে মহাবিপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

এ কচ্ছপ রক্ষা ও জীবনপদ্ধতি সম্পর্কে গবেষণার জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের টারটেল সারভাইভাল অ্যালায়েন্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু ও প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রে কচ্ছপ প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়।