মনোনয়ন পাবেন না এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানান তিনি।

উপজেলা মনোনয়নে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে এমপি মন্ত্রীদের চাপে তৃণমূল থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মনোনীত প্রার্থী করে কেন্দ্রে পাঠানোর বিষয়টি দল কিভাবে দেখছে জানতে চায় সাংবাদিকরা। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সেরকম কোন অভিযোগ থাকলে মনোনয়ন বোর্ড খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এখানে কার ভাই, কার বোন, কার ছেলে সেটা বিষয় নয়। প্রশ্ন হচ্ছে কার জনপ্রিয়তা বেশি, কে উইনেবল। তাদেরকে আমরা নমিনেশন দেব। এমপি মন্ত্রীরা নিজেরাই তো আছেন, আবার তাদের আত্মীয় স্বজনদের টানবেন কেন?

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোন এলাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের ইচ্ছার প্রতিফলন যদি কোথাও হয়ে থাকে, কোন উপজেলায় নিয়ম অনুযায়ী নাম আসলে, তার জনপ্রিয়তা থাকলে তার দলের ভূমিকাটা আত্মীয়তার জন্য ঢাকা পড়বে এটা ঠিক না।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি না আসায় অংশগ্রহনমূলক হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না, কারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে আর কারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে জাতীয় নির্বাচনের মত উপজেলা নির্বাচনেও ট্রেন কারও জন্য থেমে থাকবে না। উপজেলা নির্বাচনের ট্রেনও আপন গতিতে চলতে থাকবে। কারও জন্য থেমে থাকার কোন সুযোগ নেই।

জাতীয় নির্বাচনের মত হবে উপজেলা নির্বাচন ইসির এমন বক্তব্যকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে কাদের বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার হয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ কোথায়। জাতীয় নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনও সিডিউল অনুযায়ী হবে। এখানে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই।

বিএনপির কালো ব্যাজ ধারণের ঘোষণাকে কিভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ জানতে চাইলে কাদের বলেন, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় সেজন্য তাদের কালো ব্যাজ ধারণ করা কর্মসূচি। এত শোচনীয় ভাবে তাদের পরাজয়ের কারণেই তাদের কালোব্যাজ ধারণ করা হচ্ছে। পরাজয়টা এতই শোচনীয়, এত বড় একটা দল জাতীয় নির্বাচনে খুব কম কেন্দ্রেই তারা এজেন্ট দিতে পেরেছে। এজেন্ট দেওয়ার মত ক্ষমতা তাদের ছিল না, অথচ যারা কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

বার বার বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আসলে ইলেকশন ফোবিয়ায় ভুগছেন। নির্বাচনে হারতে হারতে তারা এখন জয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছেন। বয়কট করলে তো অন্তত বলতে পারবে যে, আমরা হারছি না। হেরে যাবে এটা অবধারিত জেনে তারা বয়কট করতে পারে।