ফাইল ছবি
বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনকে একপেশে এবং গুটিকতক সংস্থার প্রতিবেদনভিত্তিক বলে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে প্রতিবেদনটি একপেশে এবং কেবল কিছু সংস্থার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি অসম্পূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নয় বলে আমরা এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি।’
দেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদনে উল্লিখিত অংশকে খণ্ডন করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল অত্যন্ত উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ। নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে ৫৭ শতাংশ থেকে ৬৩ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ ছিল এবং প্রকৃতপক্ষে প্রায় ১০ কোটি চার লাখ ভোটারের ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় লাভ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।’
‘অপরদিকে বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল। ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যে রেকর্ড গড়লেও অনেক এলাকায় পোস্টারও লাগায়নি তারা। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য’, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বিষয়ে আলোকপাত করে ড. হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সারা বছরই ২৩ লাখ মানুষ কারাগারে থাকে। কোনো দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে এটি সর্বোচ্চ। কারাগারে কালো মানুষের সংখ্যা সাদাদের ৬ গুণ। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া কালো মানুষের সংখ্যা সাদাদের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি। এমনকি আইনের বাইরে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাওয়া পরিবারগুলোর সন্তানদের বাবা-মা থেকে পৃথক করে রাখার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সেখানে ঘটে। অন্য দেশের সমালোচনা করার আগে নিজের দেশের দিকেও নজর দেওয়া উচিত।’
কিন্তু এ প্রতিবেদন দুই দেশের সম্পর্কের কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ রিপোর্ট কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যকারী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করি এবং চাই, সমালোচনা অন্ধ না হোক।