‘ভোটাররা ভোট দিতে না এসে নীরব প্রতিবাদ করছেন’

ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আর ভোটের ব্যাপারে জনগণের ন্যূনতম আস্থা নেই। মাংস-খিচুড়ি খাইয়েও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের প্রধান দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।

চলমান উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণ কতটা ঘৃণা করছে এই সরকারকে, তার সামান্য প্রমাণ হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে না এসে নীরব প্রতিবাদ করছেন। ভোটকেন্দ্রে এখন কুকুর, বিড়াল আর পুলিশ ছাড়া কেউ আসছে না। মাংস-খিচুড়ি খাইয়েও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারছেন না ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।’

‘উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হতে নৌকা প্রতীক লাগে, জনগণের ভোট লাগে না। অলিখিত বাকশাল তো এখনো চলছে। সেইসঙ্গে আছে বাকশালের রক্ষী বাহিনীও,’ বলেন রিজভী।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘চোখ-কান খোলা রেখে জনগণের দিকে তাকিয়ে দেখুন তারা কী চাচ্ছে। তাদের ফুঁসে ওঠার সময় এসেছে। খালেদা জিয়া এখন প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা। গণতন্ত্রের মায়ের জন্য তাঁর আন্দোলনরত সন্তানরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়ে আছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অভিমান, ক্ষোভ ও বিদ্রোহের জন্য জনগণ অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে। যেকোনো সময় জনতার বিস্ফোরণ শুরু হবে, যা কল্পনাও করতে পারছেন না।’

ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে মন্তব্য করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চরম উন্মত্ত হয়ে আছে সরকার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে আর জীবিত দেখতে চান না।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে ভীষণ খারাপ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গত পরশু আদালতে এনে খালেদা জিয়াকে বসিয়ে রাখার পর তিনি চোখ মেলতে পারছিলেন না। মাথা স্থির রাখতে পারছিলেন না। বারবার মাথা কাত হয়ে যাচ্ছিল। আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরাও তাঁর এই অসুস্থ অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন।’