বিমানবন্দরে শেখ সেলিমকে প্রধানমন্ত্রীর সান্ত্বনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাই দারুস সালামে তিনদিনের সরকারি সফর শেষে ঢাকায় ফিরেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান। কিন্তু সেই সব ভুলে প্রধানমন্ত্রী ছুটে যান তাঁর ফুপাত ভাই ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের কাছে। তিনি গত রোববার শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীর (৮) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং জায়ানের নানা শেখ সেলিমকে সান্ত্বনা দেন। খোঁজ-খবর নেন পরিবারের বাকি সদস্যদের। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে শোকার্ত ও বিমর্ষ দেখা যায়। তিনি শোকার্ত শেখ সেলিমের মাথা ও কাধে হাত বুলিয়ে দেন। এরপর হাতে হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলেন দুই ফুপাত ও মামাতো ভাইবোন।

নিহত জায়ান চৌধুরী শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়ার ছেলে। গত রোববার বাবার সঙ্গে কলম্বোর একটি হোটেলে নাস্তা করার সময় বোমা বিস্ফোরণে মারা যায় জায়ান। বিস্ফোরণে জায়ানের বাবা মশিউল হক চৌধুরী আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই সময় হোটেলের কক্ষে অবস্থান করায় বেঁচে যান শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ সোনিয়া ও সোনিয়ার আরেক ছেলে জোহান।

জায়ান চৌধুরীর লাশ কাল বুধবার দেশে আনা হবে। লাশ বহনকারী বিমান কাল বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে লাশ সরাসরি বনানী ২ নম্বর সড়কের বাড়িতে নেওয়া হবে। পরে চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে জায়ানকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।