কেশবপুরের গৃহবধূ নাসরিন হত্যা মামলায় চার্জশিট, অভিযুক্ত সাত

যশোরের কেশবপুরের বাঁগদা গ্রামের গৃহবধু নাসরিন হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই দ্বৈপায়ন মন্ডল। তবে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে নাসরিন কে কেউই হত্যা করেনি। তার বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

অভিযুক্ত আসামিরা হলো বাঁগদা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা, ছেলে রাজু, মনিরুল ইসলাম লিপ্টন ও তার স্ত্রী মিশরী আক্তার লিপি, আদম গাজী ও তার স্ত্রী তাসলিমা। চার্জশিটে সকল আসামি জামিনে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল আসামিরা নাসরিনের বাড়িতে যেয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধলে নাসরিনকে ঝগড়া বিবাদ ও মিথ্যা অপবাদ দেয়। পরে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে নাসরিনের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এঘটনায় নিহতের পিতা রাজনগর গ্রামের মোসলেম মোল্লা বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা নাসরিন বেগমকে হত্যা করে লাশ দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেছে। এ ব্যাপারে আদালতের আদেশে নিয়মিত মামলা হিসেবে থানায় রুজু হয়। প্রথমে কেশবপুর থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ৬ নভেম্বর হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক হারুন অর রশীদ। মামলার বাদী সিআইডি পুলিশের দেয়া চার্জশিটের উপর আদালতে নারাজি আবেদন করেন। আদালতে আদেশ ২০১৮ সালের ২৩ জুন পিবিআই মামলাটি পুনঃতদন্ত শুরু করে।

এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে নাসরিন বেগমকে হত্যা নয় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।