যশোরে রোহিঙ্গা সন্ধেহে ৪ জনকে গণধোলাই

যশোরে ছেলে ধরা সন্দেহে নারীসহ চারজন রহিঙ্গা গণপিটুনির শিকার হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত পৌনে দুইটার দিকে শহরতলী চাচড়া মধ্যপাড়া ও রাজারহাট এবং রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুতিঘাটায় ঘটনাগুলো ঘটে। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

আহতদের মধ্যে তিনজন রোহিঙ্গা ও একজন ভারতীয় বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন, মায়ানমারের জিতেন চৌধুরীর ছেলে রেনে চৌধুরী (৩২), হামিমের ছেলে জুয়েল (৩৫), সাহেব আলীর ছেলে শহিদ (৩০) ও ভারতের বারাসাতের পুশ্নের স্ত্রী স্বপ্না (৪৮)।

চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হারুন জানান, শনিবার রাত একটার দিকে রেনে চৌধুরী চাঁচড়া মধ্যপাড়ায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এসময় এলাকার লোকজন ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমির জানান, শনিবার দিনগত রাতে শহরতলী রামনগর রাজারহাটে ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে জুয়েল ও শহিদ গণপিটুনির শিকার হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক কাজল মল্লিক জানান, শনিবার রাতে দুটি স্থানে গণপিটুনিতে আহত ৩ জনের মধ্যে জুয়েল ও শহিদের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। অপরজন রেনে চৌধুরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, কোতয়ালি থানার দারোগা এস আই আসাদ জানিয়েছেন, ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে রোববার সকালে স্বপ্নাকে সতিঘাটা এলাকা থেকে আটক করে এলাকার লোকজন। পরে তার অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে তিনি গণপিটুনির শিকার হন। খবর পেয়ে জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বপ্না ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, আহত স্বপ্নার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।