যশোরে সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ করে রাখলেন নার্সিং ইনস্টিটিউট কর্মকর্তা

যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্পের দুর্নীতির তদন্তের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার শিকার সাংবাদিকরা জানান, যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বুধবার নার্সিং ও মিডওয়াফারিং অধিদপ্তর থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত টিম তদন্তে আসেন। এরা হচ্ছেন কমিটির সভাপতি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ঢাকা পরিচালক (শিক্ষা) জাহেরা খাতুন ও সদস্য নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ঢাকা নার্সিং অফিসার ও ডিপিএম খোরশেদ আলম। এ খবর জানতে পেরে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা নার্সিং ইন্সটিটিউটে যান। অবশ্য সাংবাদিকদের পৌঁছানোর আগেই তদন্ত কমিটি যশোর নাসিং ইন্সস্টিটিউট ত্যাগ করেন। সাংবাদিকরা তদন্তের কারণ জানতে ইন্সট্রাক্টরের কক্ষে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে র্দুব্যবহার করেন এবং ইন্সটিটিউটের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে সাংবাদিকদের আটক রাখেন। তিনি নার্সিংয়ের মেয়েদের ডেকে সাংবাদিকদের হেনস্তা করার হুমকি দেন। খবর পেয়ে সাংবাদিক নেতারা গিয়ে অবরুদ্ধদের মুক্ত করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ইন্সট্রাক্টর সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্প পরে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ লিটু নার্সিং ইন্সটিটিউটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তিনি জানান, নার্সিং ইন্সটিটিউট তার আওতায় না থাকলেও বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার দাবি করেন।