ট্রাম্পের নীতিহীন শান্তি পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে বিস্ফোরণ ঘটাবে: ইসরাইল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিহীন, অবাস্তব শান্তির পরিকল্পনার প্রস্তাব ইসরাইল-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে বিস্ফোরণ ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

সোমবার ওই বিশ্লেষকরা মার্কিন প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিনে এমন মন্তব্য করেন। খবর ইয়েনি শাফাকের।

‘শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’ সম্পূর্ণ প্রকাশ হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে ইতিমধ্যে এটি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে।

এতে বড় ধরণের ছাড় দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ইসরাইলের জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের পুনরায় তাদের বসতি ফিলিস্তিনির ভূমিতে ফেরত আসার অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

জেরুজালেম স্মরণ করিয়ে দেয় কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের বিরোধের কথা। ফিলিস্তিনিরা আশা করছে, ১৯৬৭ সালে দখল করা পূর্ব জেরুজালেম একদিন ফিলিস্তিনিদের রাজধানী হবে।

রামাল্লাভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বাহরাইনে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে না।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তর করায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা তারা মানবে না।

ইসরাইলের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক আমি আয়ালন, ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ বারাকের স্টাফ প্রধান ও সিনিয়র শান্তি আলোচনাকারী শিন বিট ও গিলিয়েড শের এবং ইসরাইলের উচ্চ প্রযুক্তির উদ্যোক্তা ও থিংক ট্যাংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা অরনি পেটরুসকারের মতামতের একটি অংশ মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে ওই বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ‘জটিল পরিস্থিতিকে ভয়ংকারভাবে সরলীকরণ করে উপস্থাপন’ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

ইসরাইলি বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই পরিকল্পনা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু না। এর ভেতরে কিছু নেই। এটা অনেক বড় করে দেখানো হলেও এর ভেতরে কিছু নেই।

তারা বলছেন, যেকোনো লোক গত ৩০ বছরের ইতিহাস অনুসরণ করলে ইসরাইল-ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ সম্পর্কে বুঝবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা ঘোষণার প্রথম অংশে কোনো সমঝোতার গঠন বা পদার্থ নেই। তার এ নতুন নামের ধারণা ব্যর্থ হয়েছে, যা আমরা জানি ‘অর্থনৈতিক শান্তি’ ও ‘একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্য’।

‘ট্রাম্প এবং তার জামাতা সিনিয়র পরামর্শক জারেড কুশনারকে অভিযুক্ত করা হয়, যারা পরিকল্পনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তারা ব্যর্থ হয়েছে এ অঞ্চলের ইতিহাস এবং ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম সম্পর্কে জানতে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক সমস্যার আগে অর্থনৈতিক সমস্যা উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ‘ফিলিস্তিনিদের মুখে চড় মেরেছে।’