টেকনাফে দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের দুটি কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন জন ডাকাত ও একজন ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার নুরউল্লাহঘোনা পাহাড় ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগাপাড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ দুটি ঘটে বলে পুলিশের দাবি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানান, নিহতরা হলেন— মো. জুনায়েদ (৩৬), আয়ুব (৩০), মেহেদী হাসান (৩৫) ও ইমরান (৩২)। এ সময় একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে সাতটি দেশি বন্দুক, পাঁচটি কিরিচ, ২৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি প্রদীপ কুমার। ।

প্রদীপ কুমার দাস জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে টেকনাফ উপজেলার নুরউল্লাহঘোনা পাহাড়ি এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হাকিম ডাকাত, কুতুবদিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানার দূর্ধর্ষ পলাতক আসামি জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত, মোস্তাক ডাকাতসহ ১০ থেকে ১৫ জন ডাকাত অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, ওসি প্রদীপ, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, সহকারী উপপরিদর্শক সজিব ও কনস্টেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ, আয়ুব, মেহেদী হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়া নামক এলাকায় দুই ইয়াবা কারবারি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এক ইয়াবা কারবারির মৃতদেহ উদ্ধার করার দাবি করেছে পুলিশ।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, শুক্রবার রাতে ওই স্থানে দুই ইয়াবা কারবারি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। এ সময় আহত অবস্থায় মিজান মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও মো. সিদ্দিক (২৭) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি প্রদীপ কুমার। মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।