অন্য ছেলেকে বিয়ে করায় প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত

৩ বছর ৮ মাস প্রেম করার পর অভিভাবকের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করায় যশোর সদর উপজেলার কাজীপুরের মুন্সিপাড়ার মোজাহার আলীর মেয়ে রাজিয়া আক্তার সাথীকে উপুর্যপরি কুপিয়েছে প্রেমিক রিয়াদ হোসেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। সাথীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তার দাদা ও দাদী। তাদেরকেও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা এসময় রিয়াদকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেছে।

রিয়াদ হোসেন একই এলাকার আনসার আলীর ছেলে এবং যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর ময়লাখানার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

সাথীর দাদা মনিরুল ইসলাম জানান, ‘আমার নাতনী রাজিয়া আক্তার সাথীকে গত বৃহস্পতিবার যশোর শহরের নাজির শংকরপুর এলাকায় আসাদুজ্জামান রনির সাথে বিয়ে হয়। আজ সোমবার সকালে স্বামীসহ সাথী বাড়িতে বেড়াতে আসে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিয়াদ হোসেন সাথীর ঘরে ঢুকে দরজার সিটকিনি দিয়ে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি ভাবে কোপাতে থাকে। সাথীর চিৎকারে ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমি ও আমার স্ত্রী শাহিদা খাতুন তাকে বাঁচানোর জন্য ছুটে যাই। রিয়াদ হোসেন তখন আমাদেরকে কুপিয়ে আহত করে। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে এবং রিয়াদ হোসেনকে আটক করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাথীকে উদ্ধার করে দুপুর ১২টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার শফিউল্লাহ সবুজ ওটিতে পাঠিয়ে দেন। আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন আর স্ত্রী শাহিদা বেগমকে ভর্তি করে নেন।’

হাসপাতালের ডাক্তার মনিরুজ্জামান লর্ড ও ডাক্তার এনকে আলম সাথীকে অস্ত্রোপাচার করতে গিয়ে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করেন।

ডা. মনিরুজ্জামান লর্ড বলেন, সাথীর শরীরে মোট ১৪ জায়গায় কোপানো চিহ্ন রয়েছে। তার বুকের বামপাশে মারাত্মক জখম হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত রিয়াদ হোসেন জানান, সাথী আমার সাথে দীর্ঘ ৩ বছর ৮ মাস ধরে প্রেম করেছে। আমার কাছ থেকে স্বর্ণালংকারসহ মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমাকে বাদ দিয়ে গত বৃহস্পতিবার অভিভাবকের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছে।

যশোর কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, নববধূকে ছুরিকাঘাতে আহত করার ঘটনায় রিয়াদ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।