যশোরের শহরের সিটি কলেজ পাড়ায় ছিনতাইকালে স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারি ধরে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। এসময় রুমি নামে এক ছিনতাইকারি পালিয়ে যায়। সে শ্রমিক নেতা বারান্দী মোল্যাপাড়া আমতলার হারুন অর রশীদ ফুলুর ছেলে। জনতা ছিনতাইকারিদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, শহরতলী নীলগঞ্জ সাহাপাড়া নদীর কূল সংলগ্ন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে রকি হোসেন, বারান্দীপাড়া মোল্যাপাড়া আমতলা নদীর কূল এলাকার আজিজুল আজিম ওরফে বাবুর ছেলে আছিফুল আজিম বাদল।
যশোর সদর উপজেলার জলকর গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান শহরের বকচর হুশতলা ইনামুল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত গণি মোল্যার ছেলে কামাল আহম্মেদ শুক্রবার রাতে কোতয়ালি থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, তার ছেলে শাহেদ আহম্মেদ দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। শুক্রবার বিকেলে শাহেদ আহম্মেদ ও বিরামপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে অংকন সিটি কলেজ সার্বজনীন মন্দিরের লাইটিংয়ের কাজের জন্য যান। কাজ শেষে রাতে তারা বাড়ি ফিরছিল। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সিটি কলেজ পাড়া ২ নং গলির মধ্যে পৌছুলে রকি হোসেন, আছিফুল আজিম বাদল ও রুমি অস্ত্রের মুখে শাহেদ আহম্মেদ ও অংকনকে গতিরোধ করে। পরে নির্জন স্থানে আটকে রেখে শাহেদ আহম্মেদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও অংকনের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া দুই যুবকের চিৎকারে স্থানীয় জনতা রকি হোসেন ও আছিফুল আজিম বাদলকে ধরে ফেলে। এ সময় রুমি দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক ছিনতাইকারিদের স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে কমিউনিটি পুলিশ দুই ছিনতাইকারিকে কোতয়ালি পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
গ্রেফতারকৃত রকি হোসেন ও বাদলকে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। রুমি পলাতক রয়েছে।