যশোরে এমপি কাপ ফুটবলে বসুন্দিয়া চ্যাম্পিয়ন, কালীগঞ্জ রানার্সআপ

উৎসব ও আনন্দঘন পরিবেশে মধ্যে দিয়ে শেষ হলো যশোরে এমপি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। গতকাল শুক্রবার খাজুরা বাজার সংলগ্ন চন্ডিপুর স্কুল মাঠে স্থানীয় চিত্রা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে ফাইনালে প্রতিদ্বন্ধিতা করে যশোর সদরের বসুন্দিয়া আবাহনী ক্রীড়া চক্র বনাম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সুগার মিলস্ ফুটবল একাদশ।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি দেখতে এদিন দুপুর গড়াতেই তিন জেলার ফুটবলপ্রেমীরা উপস্থিতি যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। বর্ণিল সাজে সাজে ঐতিহ্যবাহী এ স্কুল মাঠটি। বেলা আড়ায়টা বাজতেই হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে মাঠের চারিদিক কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়। বেলা তিনটায় রেফারি জিল্লুর রহমানের বাঁশিতে খেলা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের প্রধমার্ধের ২৫ মিনিটে বসুন্দিয়ার দলীয় অধিনায়ক শরিফুল একমাত্র গোলটি করে। বাকী সময়ে খেলায় সমতা ফেরাতে একাধিক বার সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় কালীগঞ্জ ফুটবল একাদশ। ফলে ১-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বসুন্দিয়া আবাহনী ক্রীড়া চক্র। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ বিজয়ী দলের শরিফুল এবং কালীগঞ্জ একাদশের টিটো ম্যান অব দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হয়। টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-০৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার।

প্রধান বক্তা ছিলেন যশোর-৪ আসনের এমপি রনজিত কুমার রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন এমপি পত্নী নিয়তী রানী রায়, সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, বন্দবিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত হোসেন মন্ডল, জহুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ দীলু পাটোয়ারী, বসুন্দিয়ার চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাসেল, বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রাজীয় রায়, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: আব্দুস সামাদ।

উপস্থিত ছিলেন- খাজুরা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন কলেজের উপাধাক্ষ্য আমিনুর রহমান, চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিলন, সদস্য সচিব জহির আলম পিন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ছরোয়ার, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা, লিন্টু রায়, যুবলীগ নেতা রুবেল রানা, ছাত্রলীগ নেতা জিএম হোসেন প্রমুখ। চ্যাম্পিয়ন দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি এবং রানার্সআপ দলকে ত্রিশ হাজার টাকা ও রানার্সআপ টফি পুরস্কার দেওয়া হয়।