যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের দায়তলা, ঘোপ, ছাতিয়ানতলা সহ আশপাশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের লাখো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল ভৈরব নদের উপর নির্মিত ঘোপ-ছাতিয়ানতলা সেতুটি। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বিগত আমলে ভেঙে ফেলা হয় এবং নতুন একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রশাসনিক নানা জটিলতায় সেই কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
পরিকল্পিত সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় এলাকাবাসী নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে ওই সেতুর পাশ দিয়ে বাঁশের একটি সাকো তৈরি করেন। স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার ও চিকিৎসা সেবাসহ—সব ধরনের প্রয়োজনেই এসব অঞ্চলের মানুষ এই অস্থায়ী সাকো ব্যবহার করে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি ওই সাকোটিও ভেঙে পড়ায় ঘোপ হয়ে ছাতিয়ানতলা, বাঘারপাড়া, নড়াইল ও যশোর জেলা শহরের মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বাজারে যাওয়া ব্যবসায়ী, রোগী পরিবহনসহ সব ধরনের যাতায়াতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে চলাফেরা করা নারী, শিশু ও প্রবীণরা।
এ প্রসঙ্গে কচুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ঘোপ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ বিল্লাল আহমেদ বলেন, “এই সেতুটি শুধু ছাতিয়ানতলা নয়, আশপাশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বাঁশের সাকো তৈরি করেছিলাম। কিন্তু সেটিও ভেঙে যাওয়ায় এখন পুরো এলাকাই কার্যত অবরুদ্ধ। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি লাঘব করুন।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ থাকলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের মতে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম দিনের পর দিন অবহেলায় পড়ে থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তারা অবিলম্বে সেতুর নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু এবং এলাকায় স্থায়ী ও নিরাপদ যোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।