প্রথমবারের মতো অপারেটিং বাজেটে সিরিয়া ও মিয়ানমারে যুদ্ধাপরাধের তদন্তে তহবিল বরাদ্দ করে ৩০৭ কোটি ডলারের বাজেট গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘে। ২০২০ সালের জন্য এই বাজেট নির্ধারণ করছে জাতিসংঘ।
বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়ে বলছে, ২০১৯ সালের ২৯০ কোটি ডলারের বাজেটের চেয়ে এই বাজেটে স্বল্প পরিমাণে অর্থ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কূটনীতিকদের মতে, বাজেটের আকার বৃদ্ধির কারণ হলো জাতিসংঘ সচিবালয়ে অতিরিক্ত মিশন পরিচালনা করা, মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা বিনিময় হারে সমন্বয়।
এর আওতায় রয়েছে ইয়েমেনে একটি পর্যবেক্ষক মিশন পরিচালনা করা, হাইতিতে প্রতিষ্ঠা করা একটি রাজনৈতিক মিশন, ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের তদন্ত করা এবং ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের তদন্ত করা। প্রথমবারের মতো সিরিয়া ও মিয়ানমারের বিষয়ে তদন্তে বাজেট ধরা হয়েছে। আগে এ খাতে অর্থায়ন হতো স্বেচ্ছাসেবী অনুদানকারীদের কাছ থেকে। কিন্তু ২০২০ সালে এসব অনুদান সরাসরি যুক্ত হবে জাতিসংঘ সচিবালায়ের বাজেটে।
১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবশ্যই দেয় অর্থ এতে যুক্ত হবে।
কমিটি অন বাজেটারি কোয়েশ্চেন মিটিং এবং জাতিসংঘের প্লিনারি সেশনে দর কষাকষির সময় বহু সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল রাশিয়া। এর প্রতিটি প্রস্তাবের ওপর ভোটে রাশিয়া, সিরিয়া, মিয়ানমার, তাদের সমর্থক উত্তর কোরিয়া, ইরান, নিহারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা পরাজিত হয়েছে।
তারা বলেছে, গৃহীত প্রস্তাবনায় তদন্তের যে মেকানিজম রয়েছে তা থেকে তারা দূরত্ব বজায় রাখবে। অর্থাৎ সহযোগিতা করবে না।