চীনে মহামারী রুপ নিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০৮। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪০ হাজার ১৭১ জন। সোমাবর চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। এর মধ্যে অধিকাংশই হুবেইপ্রদেশের বাসিন্দা। চীন থেকে যেসব দেশে করোনা ঢুকতে পারে এমন সমীক্ষা চালিয়ে সম্ভাব্য ২০ দেশের তালিকা তৈরি করেছেন হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয় আর রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
চীনফেরত তিন কেরলবাসীর দেহে মারণ ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। চীন থেকে ফেরা প্রায় ২ হাজার ছাত্রছাত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে কোনো মুহূর্তে ভারতের সীমানা পেরিয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস। সমীক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে, যে ২০ দেশে নভেল করোনা মহামারীর আকার নিতে পারে।
সমীক্ষক ডন ব্রকম্য়ান জানিয়েছেন, বিমানবন্দরগুলোতে বিমান ওঠানামার সংখ্যা। কোন কোন দেশ থেকে বিমান আসে এই সমস্ত বিমানবন্দরে। সেসব দেশে করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা কেমন। সব যাচাই করেই তৈরি হয়েছে ‘এক্সপেকটেড গ্লোবাল স্প্রেড অব দ্য় নভেল করোনা ভাইরাস’ সমীক্ষা।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, ভারতের মধ্য়ে আবার দিল্লিতেই করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা ০.০৬৬ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে মুম্বই। সেখানে সম্ভাবনা ০.০৩৪ শতাংশ। অল্প হলেও কলকাতার নেতাজি সুভাষ আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরেও রয়েছে ০.০২০ শতাংশ সম্ভাবনা।
সম্প্রতি, সায়েন্স ম্য়াগাজিনে এই সমীক্ষার উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে স্পষ্ট করেই লেখা রয়েছে, ঠিক কতগুলো বিমান কত সময়ের ব্য়বধানে চলাচল করে, তার ওপর ভিত্তি করেই ঠিক করা হয়েছে ভাইরাসের আমদানির সম্ভাবনা।
সমীক্ষা করার সময় মাথায় রাখা হয়েছে যে বিমানবন্দর যতবেশি জনবহুল সেখানে করোনা ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা তত প্রবল। এই
সমীক্ষায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডন ব্রকম্য়ান। তিনি জানিয়েছেন, সমীক্ষা ভালো করে দেখে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ চীনে ক্রমেই ভয়ংকর আকার নিয়েছে করোনা। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন