শহীদ ইদ্রিস আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ

যশোর সদরের তীরেরহাট শহীদ ইদ্রিস আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ১৪ লাখ টাকার অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে একজন অদক্ষ, অযোগ্য, অর্থব্য লোককে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

তবে এই নিয়োগ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।

অভিযোগে জানা গেছে, আগামী ২৩ মার্চ তীরেরহাট শহীদ ইদ্রিস আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগের দিন ২২ মার্চ প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান কমিটি লিয়াজো করে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ক্রীড়া) হাবিবুর রহমানকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছে। যাতে বর্তমান কমিটি ক্ষমতা ছাড়ার আগে মোটা অংকের অর্থবাণিজ্য করতে পারে। এজন্য বর্তমান সভাপতি আক্তারুজ্জামান এলাকার দুর্বৃত্তদের সাথে হাত মিলিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই এলাকার কুখ্যাত নূরু চোরের ছেলে গরু চোর শাহজাহানকে ব্যবহার করছে। চোর শাহজাহানের সাথে আক্তারুজামানের এখন দহরম-মহরম সম্পর্ক।

সূত্র জানায়, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। চলতি মাসের (মার্চ) ৫ তারিখে আবেদনের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে ১০ জন আবেদন করেন। এরমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকও আবেদন করেন।

এদিকে, অপর একটি সূত্র জানায়, ১৩ জন আবেদন করেন। এরমধ্যে বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক রয়েছেন।

অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে জানতে বিদ্যালয়ের সভাপতি আক্তারুজামানের মোবাইলে বেশ কয়েক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, কমিটির সিদ্ধান্তে নিয়োগ হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার কোন হাত নেই। কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেব, আমার তাই-ই করতে হবে। বিষয়টি আপনারাও জানেন।

তিনি বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ আমার হাতে নয়। টাকা পয়সা লেনদেন সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আপনারা তদন্ত করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মো. জাহাঙ্গীর হুইসান মিঞা বলেন, নিয়োগের ক্ষমতা কমিটির। তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের নিয়োগ বোর্ডের জন্য একটি তারিখ দিয়েছি। নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে সভাপতির সাথে কথা বলেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার এএসএম আব্দুল খালেক বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।