বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতা: কোটি টাকার পণ্যহানির শঙ্কা, দ্রুত নিষ্কাশনের উদ্যোগ

বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থান পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি বেনাপোল রেলওয়ে নির্মাণের কাজের জন্য বন্দরের পানি নিষ্কাশনের মূল কালভার্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) সকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিকরা জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বন্দরের উপ-পরিচালক মোঃ মামুন কবির তরফদার শ্রমিকদের শান্ত করেন এবং শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজির হাসানের সাথে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে একটি বেকু দিয়ে কালভার্টের সামনের মাটি কেটে পানি সরানোর কাজ শুরু করা হয়।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, “বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বন্দরের পানি নিষ্কাশনের কালভার্টগুলো আটকে রেখেছিল। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে পূর্বের কালভার্টগুলো পুনরায় সচল করার ব্যবস্থা করছি। এই কালভার্টগুলো চালু হলে বন্দরে আর পানি জমবে না এবং হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।”

বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী জানান, “ভারী বর্ষার কারণে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় আমাদের শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না।

একইসাথে পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মোঃ মামুন কবির তরফদার, সহকারী উপ-পরিচালক কাজী রতন, বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রকৌশলী ও উপ-পরিচালক মোছাঃ রোকসানা খাতুন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদ আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তবিবুর রহমান তবি, সাধারণ লেবার এবং বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।