যশোরে পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির এক নেতাসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মিন্টু গাজীর পেটে গুলি বিদ্ধ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকা নেওয়া হয়েছে।
আহত আর এক জনের নাম ইমদাদুল। তিনি হাতে গুলিবিদ্ধ হওয়া আশঙ্কামুক্ত আছেন। সোমবার বিকেলে যশোর শহরের বকচর হুঁশতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
আহত ইমদাদুলের ভাই বদরুল আলম জানান, বিকেল সোয়া চারটার দিকে ইমদাদুল ও মিন্টু গাজী ইফতারি কেনার জন্য হেঁটে হুঁশতলা মোড়ে যাচ্ছিলেন। কপোতাক্ষ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের পাশে কপোতাক্ষ প্লটের সামনে ওত পেতে থাকা বিল্লাল নামে এক দুর্বৃত্ত তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি ইমদাদুলের হাতে ও মিন্টুর পেটে বিদ্ধ হয়।
- আরো পড়ুন
তিনি জানান, মিন্টু গাজী (৫০), ইমদাদুল (৫০), বকচর এলাকার বিল্লাল, লাল্টু, সাইফুল, লিটন প্রতিদিন হুঁশতলা কবরস্থানের পাশে একটি বাগানে জুয়া খেলেন। এই জুয়া খেলা নিয়ে তিন-চার দিন আগে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। তারই জের ধরে সোমবার বিকেলে বিল্লাল ওই দুইজনকে গুলি করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন ডাক্তার মুক্তামণি জানান, মিন্টুর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। সেই কারণে তাকে ঢাকা রেফার করা হয়েছে। আর আহত ইমদাদুল আশঙ্কামুক্ত।
পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২২৭) যুগ্ম সম্পাদক ষষ্ঠি দত্ত সন্ধ্যায় জানান, মিন্টুকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা নেওয়া হয়েছে।
যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনা শোনার পর দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে। কারা কী কারণে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অতিরুক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বিশেষ শাখা(ডিএসবি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন৷
পরিবহন শ্রমিকনেতা ষষ্ঠি দত্ত জানান, আহত মিন্টু গাজী বকচর হুঁশতলা এলাকার হামিদ গাজীর ছেলে। তিনি পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি যশোরের সহসাধারণ সম্পাদক। আর আহত ইমদাদুলও একই সংগঠনের সদস্য।