সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খান বাহিনীর তিন সদস্য নিহত

সুন্দরবনে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু খান বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুই দস্যুকে আটক ও দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়। দস্যুদের কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুন) রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হরদহ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরার হরদহ এলাকার মো. লুৎফর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৪), আশাশুনি উপজেলার বসুখালীর মৃত জামাত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২৪) ও অজ্ঞাত এক যুবক (২৫)। আটক দুইজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

র‍্যাব জানায়, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মামদো নদী, মালঞ্চ নদী, খোপড়াখালী নদী ও ফিরিঙ্গি নদী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় র‍্যাব-৬। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাত থেকে রোববার (২৮ জুন) ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে শনিবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হরদহ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে তিন দস্যু নিহত হয়।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার র‍্যাব-৬ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় নামার চেষ্টা করলে তাদের পরিণতি এমন হবে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির থেকে কেউ পার পাবে না। কাজেই দস্যুতার পথ ছেড়ে দেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, র‍্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রওসোনুল ফিরোজ প্রমুখ।