ভিজিএফ চালের স্লিপ জাল করে ধরা খেল ইউপি মেম্বর

হতদরিদ্র সাগরী খাতুন ভিজিএফ চালের স্লিপ পেয়ে চাল নিতে আসেন ঝিনাইদহ সদরের হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। তারা কার্ডটি প্রদর্শন করা মাত্রই তা জাল বলে প্রমানিত হয়। সাগরী খাতুনের বাড়ি ওই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে।

এ রকম বাহারণ নেছা, বিদ্যুত, খাতুন নেছা, আনার, জাহারুলসহ অনেককে জাল স্লিপ দেওয়া হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন হলিধানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান।

তিনি জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে সরকার প্রদত্ত ১০ কেজি ভিজিএফ চালের স্লিপ ইউপি মেম্বরদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার হলিধানী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে এ রকম কিছু জাল ভিজিএফ স্লিপ ধরা পড়ে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুজ্জামান সরকার। তিনিও সত্যতা পান।

৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর গোলাম কিবরিয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানান, তিনি মাত্র ৬টি এ রকম জাল স্লিপ দিয়েছেন। কিবরিয়া মেম্বর এও উল্লেখ করেন জাল স্লিপের কারণে চালের কমতি হলে তিনি কিনে দিবেন।

অভিযোগ উঠেছে গোলাম কিবরিয়া মেম্বরের সাথে হলিধানী বাজারের কিছু অসাধু কম্পিউটারের দোকানদার এই জাল স্লিপ তৈরীর সাথে জড়িত। তাদের সাথে যোগসাজস করে এ রকম স্লিপ বিতরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসি আরো জানায়, বাজারে এ ধরণের কাজ করার জন্য একটি চক্র গড়ে উঠেছে। অনেকের অভিযোগ স্থানীয় সংসদ ডিজিটাল স্টুডিওর মালিক আব্দুল হান্নানের দোকান থেকে এ সব জাল স্লিপ তৈরী করা হয়েছে। তবে হান্নান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে ইউপি মেম্বর গোলাম কিবরিয়া নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কারণে চালের ঘাটতি দেখা দিলে আমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে চাল কিনে দিতে চেয়েছি।