ট্রাম্প আমেরিকার সবচেয়ে অযোগ্য প্রেসিডেন্ট: বাইডেন

নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচন পরবর্তী গণনা নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে আস্ফালন করেছেন, একের পর এক মিথ্যে দাবি করেছেন, অপপ্রচার চালিয়েছেন বিরোধী দলকে নিয়ে, তা গণতন্ত্রের কাঠামোকেই ক্ষতবিক্ষত করে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করলেন সদ্যনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্প সবচেয়ে অযোগ্য প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন বলেন, ‘সারা পৃথিবীর কাছে গণতন্ত্র নিয়ে মারাত্মক বিকৃত একটা বার্তা দিলেন ট্রাম্প। অথচ আমি নিশ্চিত, যে তিনি নিজে জানেন, তিনি হেরে গেছেন।’

মিশিগানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান বাইডেন। সেখানে মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। নির্বাচনে হারা নিয়ে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা যে রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, তা নিয়ে সেখানেই মন্তব্য করেন তিনি। বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্প যে সবচেয়ে অযোগ্য প্রেসিডেন্ট, তার আচরণই তার প্রমাণ। উনি যে কী ভাবেন নিজেকে আমি জানি না। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, যে উনি নিজে খুব ভাল করে জানেন যে উনি জেতেননি, জিততে পারেন না। অথচ নিজের হার স্বীকার করা ওর ধাতে নেই।’

সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে যখন ট্রাম্পের আসন টলোমলো হয়ে ওঠে, তাকে হারিয়ে জিততে চলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বিডেন, এমনই সময় কার্যত কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলতে শুরু করেছিলেন, ভোট গণনা পদ্ধতিতে কারচুপি চলছে। ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের এই অভিযোগের পরে আরও দাবি করা হয়, ভোট ‘চুরি’ করছে ডেমোক্র্যাটরা।

নির্বাচনের গণনা যত এগিয়েছে, একের পর এক প্রদেশে ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেন যত এগিয়েছেন, রিপাবলিকানদের দাঙ্গা-হাঙ্গামাও তত দ্রুত ছড়িয়েছে। অবশ্য এমনটা যে হতে পারে, সে ইঙ্গিত আগেই ছিল। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঠিক হওয়ার সময় থেকেই ট্রাম্প আস্ফালন করতে শুরু করেছিলেন, নিজের হার সহজে মেনে নেবেন না তিনি।

জো বাইডেনের মতে, ট্রাম্প যে জেতেননি, তা তিনি জানতেন, তবু এই সবটাই ট্রাম্প গায়ের জোরে করে গেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।