দুদকের রিমান্ডে পাপিয়া দম্পতি

মাদক ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা ও অনৈতিকভাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সোয়া ছয় কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় নরসিংদীর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে দুদকের একটি দল এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে হাজির করে।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

এর আগে গত ৪ আগস্ট দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ডিসেম্বর শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।

দুদকের আইনজীবী জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে হাজির করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী রিমান্ড মঞ্জুরের দাবি জানান। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

গত ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া অস্ত্র আইনের আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।