যশোরে ব্যবসায়ীকে অপহরনের ঘটনায় আদালতে মামলা

যশোরে ব্যবসায়ীকে কৌশলে অপহরণ ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সাদা ও নীল কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হাফিজ মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ রোববার (৭ মার্চ) আদালতে মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত নারী মোছা. নাজনীন সুলতানা যশোর শহরের আর এন রোড অম্বিকা বসু লেনের মৃত আশরাফ আলীর মেয়ে।

শার্শা সদরের মৃত হারুনর রশিদের ছেলে হাফিজ মোহাম্মদ মামুনুর রশিদের অভিযোগ, তিনি মাছ ও পিকআপভ্যানের ব্যবসা করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত নারী নাজনীন সুলতানা অসৎ চরিত্রের। তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে করে টাকা ধার দিয়েছেন মর্মে স্ট্যাম্প সৃষ্টি টাকা আদায় করা তার পেশা। ইতোপূর্বে অভিযুক্ত নারী তার কাছে তিন লাখ টাকা পাবেন বলে আদালতে মামলাও করেছিলেন। পরে আদালত থেকে তিনি খালাস পান। এ ঘটনার পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে তিনি যশোর শহরের আর এন রোডস্থ নিউ আইচার মটরসের দোকানে আসেন পিকআপভ্যানের পার্টস কেনার জন্য। আধাঘন্টা পর নাজনীন সহ অজ্ঞাতনামা আরো চারজন তাকে অপহরণ করে খালধার রোডের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে সেখানে আটকে রেখে তার মাথায় পিস্তল ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে একশ’ টাকা মূল্যের ৩টি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এবং মৌলভি ডেকে এনে নিল কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এরই মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে যান। তারা এ সময় সেখান থেকে তাকেসহ স্বাক্ষর করে নেয়া ৩টি স্ট্যাম্প উদ্ধার করেন। পরে দেখা যায় নাজনীন সুলতানা তার কাছে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ১২ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন লেখা আছে। কিন্তু স্ট্যাম্প ৩টি উদ্ধার করা গেলেও স্বাক্ষর করে নেয়া নিল কাগজটি পাওয়া যায়নি। ফলে তিনি আশঙ্কা করছেন, স্বাক্ষর করে নেয়া নিল কাগজটি বিয়ের কাবিননামা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অভিযুক্ত নাজনীন।