‘ইফতার এবং সাহরিতে পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না’

পবিত্র রমজান মাসে ইফতার এবং সাহরির সময় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসাসহ দেশের সব ওয়াসার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে চলমান করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে দেশের সব ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময়সভায় এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, ইফতার এবং সাহরিতে মানুষ যাতে ঠিকমতো পানি পায়, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনোক্রমেই পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। পানি সরবরাহে মানুষের নেতিবাচক প্রক্রিয়া যেন না আসে সেদিকে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া করোনা মহামারির কারণে পানির বাড়তি চাহিদা থাকায় পানির যেন সংকট তৈরি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।

এ সময় সব ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা পবিত্র রমজান মাস এবং করোনা মহামারিতে পানি সরবরাহে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করেন। গৃহীত এসব উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ওয়াসার সেবা থেকে মানুষকে কোনোভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না।

মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে একসময় ৬০ শতাংশ পানিও সরবরাহ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু বর্তমানে শুধু শহরে নয়, সারা দেশে প্রায় শতভাগ গুণগত ও মানসম্পন্ন পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ দেশে কোনো পানিসংকট নেই। দেশে ভবিষ্যতে পানির চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী ওয়াসাসহ সব ওয়াসা বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সরকার কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্রতার কারণে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলমান উন্নয়নকাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখা যাবে না।

কভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধারণ মানুষের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির স্টেশনসহ অন্যান্য সেবামূলক কাজে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।