বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিলে প্রয়োজনের অর্ধেকই ঘাটতি

বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনার টিকা, চিকিৎসা, শনাক্ত ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যে তহবিল জোগানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে, তাতে ঘাটতি এখনো ১ হাজার ৬৮০ কোটি মার্কিন ডলার। আর এই ঘাটতি মোট প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে জানা যায়, ধনী ও দরিদ্র দেশের করোনা মোকাবিলায় সক্ষমতায় বিস্তর ফারাকের প্রেক্ষাপটে সংস্থার মহাসচিব টেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস সতর্ক করে বলেছেন, মহামারি শুরুর ১৮ মাসেরও বেশি সময় পরে এটি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সেস টু কোভিড টুলস এক্সিলেরেটর (এসিটি-এ) কর্মসূচিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এক ব্রিফিংকালে তিনি আরও বলেন, যেসব দেশ টিকাসহ করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যাপকভাবে সংগ্রহ করতে পেরেছে, তারাই বিধিনিষেধ তুলে তাদের সমাজ উন্মুক্ত করে দিতে পারছে।

তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, পরীক্ষা, অক্সিজেন এবং বিশেষত টিকার মতো জীবনরক্ষার সরঞ্জামকে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু যারা পারেনি তারা হাসপাতাল আর মৃত্যুর ঢেউ মোকাবিলা করছে।

করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি, উন্নয়ন ও বিতরণ করাই হল আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রকল্প এসিটি-এর লক্ষ্য। ইতিমধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে এটি প্রতিশ্রুত অর্থের ১ হাজার ৭৭০ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাকি অর্থ প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাকি ১ হাজার ৬৮০ কোটির মধ্যে ৮১০ কোটি বিলিয়ন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।
কোভ্যাক্স নামের উদ্যোগটির সৃষ্টি হয় এসিটি-এ কর্মসূচির মাধ্যমেই, যার মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

টেদ্রোস চাচ্ছেন, সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রত্যেক দেশের ১০ শতাংশ এবং বছরের শেষনাগাদ ৪০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে। এ প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার তহবিলবিষয়ক যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে টিকা উৎপাদনকারী প্রধান কয়েকটি দেশ।