যশোরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় স্বামী আটক

যৌতুক আইনে দায়ের করা মামলায় যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ বাবুর আলী ওরফে বাবর আলী (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে। বাবর আলী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াভাঙ্গা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে যশোর শহরের খড়কী দক্ষিণপাড়ার প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

বাবর আলীর স্ত্রী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে স্বর্ণালী আক্তার তিথি (১৯) ৩১ জুলাই শনিবার দিবাগত গভীর রাতে দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ২০২০ সালের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যশোরের খড়কীর ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। তিনি পরে জানতে পারেন ইতোপূর্বে বাবর আলীর ২/৩টি বিয়ে হয়েছিল।

সে সেনাবাহিনীতে চাকরি করে জানালেও পারে জানাতে পারেন সেনাবাহিনী থেকে সে চাকরিচ্যুত। তার স্বভাব চরিত্র ভাল না। বিয়ের কিছুদিন পর সে তার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না পেয়ে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে নেশা করে বাবর আলী ক্রমেই নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

বিষয়টি তিনি (তিথি) তার পবিরবারের সদস্যদের জানালে তারা তার সুখের কথা ভেবে আসবাবপত্র, গহনা, মূল্যবান কাপড়সহ সাড়ে তিন লাখ টাকা দেয়া হয়। এ সব নিয়ে কিছুদিন পর ফের আরো এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারপিট ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তিনি মহেশপুরে তার মায়ের কাছে উঠেন। গত ৩০ জুলাই মোবাইল ফোনে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে বাবার আলী এবং তাকে যশোরে ফিরতে বলে। তিনি ৩১ জুলাই যশোরের ভাড়াবাড়িতে ফিরলে সেখানে ফের যৌতুকের জন্য চাপ দেয়।

টাকা না দিলে তাকে নেয়া হবে বলে জানায় এবং মারপিট করে বাড়ি থেকে ফের তাড়িয়ে দেয়। পরে তিনি বাধ্য হয়ে বাবর আলীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। কোতয়ালি থানার এসআই সাব্বির হাসান জানিয়েছেন, যৌতুক আইনে দায়েরকরা মামলায় বাবর আলী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।