যশোরে কোরআন অবমাননার অভিযোগে ভন্ড নারী কবিরাজ গ্রেফতার

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে মোছাঃ সোনিয়া বেগম (৩৪) নামে এক ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

তিনি যশোর সদর উপজেলার ১১নং রামনগর ইউনিয়নের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। কোতয়ালি থানার এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজিব রোববার ১৭ অক্টোবর বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে।

সোমবার ১৮ অক্টোবর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজিব জানান, রোববার ১৭ অক্টোবর বিকেলে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে মোছাঃ সোনিয়া বেগমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারেন মোছাঃ সোনিয়া বেগম প্রায় ১ মাস যাবত ওই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনদেরকে বিভিন্ন রোগ মুক্তির জন্য কবিরাজি কায়দায় ঝাঁড়ফুক, পানিপাড়া ও নিজের পা ধোয়া পানি আল্লার পায়ের পানি বলে বিভিন্ন রোগ মুক্তির জন্য সেবন করতে বলে।

আসামির কাছে আসা লোকদের মাথায় ইসলামের পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে অবমাননা করে। সোনিয়া বেগম নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করে। আটক সোনিয়ার কাছে জিজ্ঞাসাবাদে সে এসআইকে জানায় তার সাথে ৩জন ফেরেস্তা থাকে। রোগ মুক্তির জন্য ফেরেস্তারাই চিকিৎসা দেয়।

১৭ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা এক মহিলা রোগ মুক্তির জন্য আসামির বাড়িতে গেলে অজ্ঞাতনামা মহিলার মাথায় কোরআন শরিফ রাখে। যা আশপাশের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়।

এসময় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে কোতয়ালি থানায় পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। ভন্ড কবিরাজী প্রতারক মোছাঃ সোনিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।