যশোরে চোরাচালান মামলায় দুই ব্যক্তিকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

ফাইল ছবি

যশোর আলাদা চোরাচালান মামলায় দুই ব্যক্তিকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো চৌগাছার আন্দুলিয়া গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম ও যশোর শহরের বারান্দীপাড়া বৌবাজার এলাকার ভাড়া বাসিন্দা রওশন আলীর ছেলে কামরুজ্জামান রেজা।

সোমবার আলাদা রায়ে স্পেশাল ট্রইব্যুনাল ২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট বিমল কুমার রায়।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর বিকেলে যশোরের ডিবি পুলিশ সদরের সুজলপুর জামতলা মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করছিল।

এসময় যশোরগামী একটি খালি ভ্যান দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ভ্যানটি তল্লাশি করে বডির নিচেয় দড়ি দিয়ে বাধা একটি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করা হয়।

ডিবির এএসআই আজিজুল হক বাদী হয়ে আটক তরিকুল ইসলামকে আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেন।

এ মালার রায়ে আসামি তরিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত তরিকুল কারাগারে আটক আছে। এছাড়া কোতয়ালি থানা পুলিশ ২০০৭ সালের ২ এপ্রিল গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের আরএন রোড থেকে রিক্সায় যাওয়ার সময় কামরুজ্জামানকে আটক করে।

এ সময় তার ব্যাগ তল্লাশি করে ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আটক কামরুজ্জামান ও বেনাপোল দিঘীরপাড় গ্রামের লাল চানকে আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে থানায় মামলা করেন এসআই আব্দুল করিম।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লাল চানকে খালাস দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত কামরুজ্জামান রেজা পলাতক রয়েছে।