রূপদিয়া স্টেশন পরিদর্শনে না এসে হতাশ করলেন রেল ডিজি, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী!

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) আফজাল হোসেনের ঢাকা-বেনাপোল রুটে (২১ জুন) শনিবারের সরকারি সফরে যশোরের রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনের কথা থাকলেও তিনি পূর্ব নির্ধারিত এই কর্মসূচি বাতিল করে গাড়িবহরসহ সরাসরি চলে যান সিঙ্গিয়া ও নোয়াপাড়া স্টেশনের দিকে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও আক্ষেপ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্টেশনে অপেক্ষায় ছিলেন শতাধিক মানুষ। কেউ এসেছিলেন ফুল হাতে, কেউবা শুধুই আশা নিয়ে—সবাই চেয়েছিলেন রেল ডিজিকে একনজর দেখতে, নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা জানাতে।

রূপদিয়া স্টেশন ঘিরে এদিন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল এলাকার পরিবেশ। শুধু রেলস্টেশন সংলগ্ন গ্রাম নয়—দূরদূরান্ত থেকেও ছুটে এসেছিলেন বহু মানুষ। তাদের মূল দাবি ছিল—রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ নিশ্চিত করা। স্থানীয়দের প্রত্যাশা ছিল, মহাপরিচালক স্বচক্ষে দেখবেন এলাকার সমস্যা, শুনবেন সাধারণ মানুষের কথা। কিন্তু কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই গাড়িবহর সামনে দিয়ে চলে যাওয়ায় উপস্থিত জনতার মনে চরম হতাশা নেমে আসে।

একসময় নিরাশ হয়ে সবাই ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে। ডিজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিঠু, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রাসেল, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, সোহেল রানা তোতা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবীর, রূপদিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জাফর ইকবাল,

ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আজিম হোসেন মিন্টু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রসুল আহম্মেদসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রূপদিয়া রেলস্টেশনে ট্রেনের নিয়মিত যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তাদের ধারণা ছিল, রেল ডিজির সফরের মাধ্যমে সেই দাবির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু স্টেশন পরিদর্শন এড়িয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর আশা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।