যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, আমি আশা করেছিলাম বিএনপি রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য বোঝে। কিন্তু না, তারা তা বোঝে না।
তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে রুখে দিতেই দেশবিরোধী লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
এর আগে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াও বিদেশিদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছিলেন। আমি মনে করি, বিএনপির এসব ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
শনিবার ইসলামবাগ ঈদগাহ মাঠ, লালবাগে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ উপস্থিত সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সামগ্রী ও শীতবস্ত্র উপহার নিয়ে এসেছি। শেখ হাসিনার আওয়ামী যুবলীগ গণমানুষের সংগঠন।
আপনারা যদি আজ থেকে ১৫ বছর আগের শহরের চিত্রে ফিরে যান তাহলে নিশ্চয় মনে পড়বে, কত সমস্যার মধ্যে আপনারা ছিলেন। খাদ্য, বস্ত্র, গ্যাস, চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। এমনকি বিদ্যুতের জন্য মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিলো বিএনপি-জামাত।
মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না, কোনো অধিকার ছিল না। আসলে বিএনপি-জামাত সরকার সমাজের উচ্চ শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করার সরকার। আর আমরা রাজনীতি করি,
আপনাদের মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য। আমরা আজকে যে যেই রাজনৈতিক পদ-পদবীতে থাকি না কেন, সব আপনাদের জন্য। সেবা করার জন্য আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়ে। আপনারা না থাকলে আমরা নেই।
তিনি বলেন, ১বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শুধু ভোটের সময় আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনাদেরকে কেন্দ্র করে।
আপনাদের মৌলিক চাহিদা- অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য রক্ষা করা আমাদের রাজনীতি করার প্রধান লক্ষ্য। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার শপথ- আপনাদেরকে আর কোনোদিন ভাত-কাপড়ের জন্য কষ্ট করতে হবে না।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের লক্ষ্য একটা মানবিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুকন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্যে চার দশকের বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর শোষিতের, অর্থাৎ মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশপাশি জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে মানবিক বাংলাদেশের চেতনাকে জাগ্রত করে ছিলেন।
বিশ্বের অন্যতম সৎ, দক্ষ ও সেরা প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতিসহ তিনি অর্জন করেছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’, ‘বিশ্বমানবতার নেতৃত্ব, ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক নেতা’, মানবতার চ্যাম্পিয়ন’ ইত্যাদি মর্যাদাপূর্ণ বিশেষণ।
তাঁর উন্নয়নমূখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রিয় বাংলাদেশও আজ অর্জন করেছে সমৃদ্ধ ও মানবিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি। বর্তমান যুবলীগের অন্যতম লক্ষ্য রাষ্ট্রের মানবিক ধারাকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূুমিকা রাখা
এবং গণমানুষের সুখে-দুঃখে সাথে থাকা। এ লক্ষ্যে যুবলীগ ইতোমধ্যে বেশ কিছু মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে যার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আজকের এই শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান।