জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বাদ দিতে চায় পশ্চিমারা

ইউক্রেনে হামলার ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর অব্যাহত রয়েছে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার কারণে বেড়েছে মুদ্রাস্থীতি, অনলাইন লেনদেন ব্যাহত হচ্ছে, বেড়ে গেছে কালোবাজারের ঝুঁকি।

ইরান ও সিরিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির ২০টি দেশের জোট জি-২০ তে রাশিয়াকে রাখা উচিত কিনা যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা তা পর্যালোচনা করে দেখছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জি-২০ থেকে রাশিয়াকে রিপ্লেস করতে পোল্যান্ড মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছে। এর জবাবে ‘ইতিবাচক সাড়া’ পেয়েছে দেশটি।

চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রাসেলসে মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়াকে জি-২০ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য চাপ দেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না।

এ ধরনের কোনো ঘোষণার আগে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট জি-৭ এর উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, রাশিয়া জি-২০ এর অংশীদার থাকার উপযুক্ত কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

রাশিয়া যদি সদস্য থাকে, তাহলে এটি দিন দিন কম দরকারি একটি সংগঠনে পরিণত হবে। জি২০-র আসন্ন বৈঠকগুলোতে রাশিয়ার থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সূত্রও পৃথকভাবে জানিয়েছে।

জি-২০ এর সভাপতির পদে ঘুরে ঘুরে একটির পর একটি দেশ আসে, এখন এ পদে আছে ইন্দোনেশিয়া।

ইউরোপীয় সূত্রটি বলেছে, আসন্ন মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে রাশিয়ার উপস্থিতি ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য যে খুবই সমস্যার হবে তা ইন্দোনেশিয়ারে কাছে স্পষ্ট করা হয়েছে। তবে জি-২০’র বৈঠকগুলো থেকে সদস্য দেশগুলোর কাউকে বাদ দেওয়ার কোনো পদ্ধতি নেই।

বিশ্লেষকরা বলছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্যমান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সাথে যুক্ত হবে।

কিন্তু পশ্চিমাদের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন, ভারত ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জি-২০ দেশগুলো সম্ভবত ভেটো দেবে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জি-২০ বৈঠকগুলোতে অনেক দেশের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতির শঙ্কা বাড়ছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।