রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করতে যুদ্ধক্ষেত্রে যোগ দিয়েছেন মার্কিন নাগরিকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কিছু ভিডিওতে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভিডিওতে যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেনীয় সেনাদের পাশে দেখা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।
এর একটিতে বিধ্বস্ত একটি সামরিক যানের সামনে এক ইউক্রেনীয় যোদ্ধার সঙ্গে এক মার্কিন নাগরিককে দেখা যায়। ওই যানটি রাশিয়ার ট্যাংক বলে দাবি করা হয়।
এ সময় পাশে থাকা এক ইউক্রেনীয়কে ‘আমেরিকায় স্বাগতম’ বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। পরে ওই আমেরিকানও একই কথা উচ্চারণ করেন।
অপর একটি ভিডিওতে একটি গ্রামের রাস্তার পাশে দেয়ালের পেছনে একদল সেনাকে দেখা যায়। এক সেনাকে আমেরিকান উচ্চারণে ভিডিওটির বর্ণনা করতে দেখা যায় এবং তিনি দাবি করেন এই স্থানটি তারা রাশিয়ান সেনাদের কাছ থেকে পুনর্দখল করেছেন।
প্রথম ভিডিওটি জেমস ভাসকুয়েজ নামের মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক এক সদস্য পোস্ট করেছেন। টুইটার ফিড থেকে জানা যায়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের বাসিন্দা এবং অবসরের পর নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি ১৫ মার্চ পোল্যান্ডে আসেন এবং পরদিন তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইউক্রেনে পৌঁছান। আসার সময় তিনি নজরদারির জন্য ব্যবহার করতে একাধিক ড্রোন নিয়ে আসেন। পরে তাকে ১৮ মার্চ ইউক্রেনের লভিভ শহর থেকে সম্মুখসমরে পাঠানো হয়।
ভিডিওতে জেমস ভাসকুয়েজ বলেন, দেশটির বিভিন্ন তল্লাশিচৌকিতে ইউক্রেনীয়দের কাছে তাকে নিজের পাসপোর্ট দেখাতে হয়েছে। তিনি মার্কিন নাগরিক জেনে ইউক্রেনের সেনারা অবাক হয়েছেন।