ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে পড়েছে পাকিস্তান। গত ১০ দিনে ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।
সোমবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
গত ২৬ জুন থেকে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া, পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাব, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশ।
এনডিএমএ জানিয়েছে, চলমান বৃষ্টিপাতের কারণে আরও ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলেছে এবং পর্যটকদের বন্যাকবলিত এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাগাতার বৃষ্টিতে মহাসড়ক ও যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।
এর আগে, গত মাসে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সোয়াত নদীতে একই পরিবারের ১৭ জন পর্যটক স্রোতের তোড়ে ভেসে যান। এদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাকিদের মরদেহ পরে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যদের ছাদে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার আকুতি জানানো একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। জরুরি সেবার ধীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি এখনও মোছেনি পাকিস্তানের মানুষের মন থেকে। সে সময় প্রবল বর্ষণে ডুবে যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এবং প্রাণ হারান অন্তত ১ হাজার ৭৩৭ জন। চলমান দুর্যোগেও তেমন আরেকটি পরিস্থিতির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।