পাকিস্তানে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। আর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন শাহবাজ শরীফ।
শান্তির বার্তা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন শাহবাজ শরীফ। চিঠিতে ভারত ও পাকিস্তানের ‘পারস্পরিক শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে’ জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধ সমাধানের আহ্বান জানান।
এমন পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে-চলতি বছরেই বৈঠক করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি ও শাহবাজ শরীফ। এ নিয়ে নাকি দু’দেশের কূটনীতিবিদদের তৎপরতাও শুরু হয়েছে। তবে সরকারিভাবে কোনো নিশ্চিত খবর মেলেনি।
অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে সরিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা হাতে নেন শাহবাজ শরীফ। শপথ নিয়েই ভারতের উদ্দেশ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
তারপর থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের উন্নতির আশায় বুক বেধেছে রাজনৈতিক মহল। এমন পরিস্থিতি তে শোনা যাচ্ছে জুলাই মাসেই উজবেকিস্তানের তাসখন্দে বৈঠক করতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
আগামী জুলাই মাসের ১৭ তারিখ তাসখন্দে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন বৈঠকে রয়েছে। সেখানে যোগ দিতে যাবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীই।
জানা যায়, সেই সম্মেলনের ফাঁকে মোদি এবং শরীফ আলাদাভাবে কথা বলতে পারেন। এ নিয়ে নাকি দু’দেশের প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
সেই বৈঠক বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তান কাটাস রাজ মন্দিরে যেতে পারেন মোদি। সেখান থেকে শরীফ তাকে ইসলামাবাদ নিয়ে যেতে পারেন। তবে এ নিয়ে দিল্লির তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বরাবরের জ্বলন্ত ইস্যুর নাম কাশ্মীর উপত্যকা। এই সমস্যাই জিইয়ে রেখেছে সীমান্ত অশান্তি। আলাপ-আলোচনা, বৈঠক, মধ্যস্থতা-অনেকভাবেই সমাধানের চেষ্টা চলেছে।
অনেক বার শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। কিন্তু তা অধরাই রয়ে গেছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার পরই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পক্ষে কথা বলেছেন শাহবাজ শরীফ। আর এরপর কূটনৈতিক মহল ধারণা করছে, এবার সীমান্ত সমস্যা সমাধানের সূত্র খোঁজা হতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।