জেলা পর্যায়ে ঝিনাইদহে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র সরকারী শিশু হাসপাতালটি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। শুধু মাত্র চিকিৎসা সেবা ব্যতীত অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত এখানকার রোগীরা।
হাসপাতালে লোকবল সংকটের পাশাপাশি নেই ল্যাবরেটরি, আসবাবপত্র ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোন যন্ত্রপাতি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিশুদের চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ শহরের টার্মিনাল এলাকায় স্থাপিত হয় ২৫ শয্যা বিশিষ্ট এই শিশু হাসপাতালটি।
উদ্বোধনের একযুগ পরে চালু হলেও শুধুমাত্র ডাক্তারি সেবা ব্যতীত সকল কার্যক্রম রয়েছে বন্ধ। চিকিৎসা সেবা পেলেও পরীক্ষা-নিরিক্ষা থেকে সর্ম্পূন বঞ্চিত তারা।
প্রতিদিন বহিঃবিভাগে ১’শ থেকে ২’শ রোগীর সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া ২৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি থাকে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী । হাসপাতালে রয়েছে বেড সংকট।
নেই ল্যাবরেটরি, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ। লোকবল সংকটে ওয়াশ রুম, ফ্লোর কিংবা অন্যান্য জায়গা করা হয়না সঠিকভাবে পরিষ্কার।
যার ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। হাসপাতালটি পরিপূর্নভাবে পরিচালিত হলে আশপাশ কয়েক জেলার শিশু রোগীরা চিকিৎসা পাবে বলছেন সচেতন মহল।
দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে রোগীর স্বজন ও জেলাবাসী। লোকবল সংকট আর যন্ত্রপাতি না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্স,ডা. আলি হাসান ফরিদ জামিল, কনসালটেন্ট, শিশু হাসপাতাল ঝিনাইদহ।
মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ, সিভিল সার্জন, ঝিনাইদহ। ঝিনাইদহ ২৫ শয্যা শিশু হাসপাতালটি ২০০৫ সালে উদ্বোধন করা হলে চালু হয় চলতি বছরের ৯
জানুয়ারী।