খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে তিন মাসে সরকার পরিবর্তন: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যেমন করে হোক আপনারা মুক্ত করে আনেন। তিনি মুক্তি পেলে এই সরকার পরিবর্তন করতে তিন মাস লাগবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বর্তমান সরকার রাজি হবে।’

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি) নামে নতুন একটি দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আত্মপ্রকাশ হওয়া জনতার অধিকার পার্টির ৭টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন দলটির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, জনতার অধিকার পার্টি জাতির সঙ্গে বেইমানি করবে না। দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবে।

নতুন দলের মহাসচিব মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণশক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ মো. তাহের, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন’ দাবি করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ভয় পাচ্ছেন কেন? হারলে হারবেন, জিতলে জিতবেন। আপনার প্রতি কোনো অবিচার হবে না, ন্যায়বিচার পাবেন। আমি অন্তত আপনার পাশে থাকব।’

‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে’ দাবি করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার পরামর্শ দেন জাফরুল্লাহ।

সম্প্রতি ভোলায় পুলিশের গুলির সমালোচনা করে তিনি বলেন, গুলি ছোড়ার আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এখন সেই ক্ষমতা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার যত দিন ক্ষমতায় আছে, তত দিন শুধু ভোট নয়, খাদ্য, জীবন, জ্বালানি- কোনো কিছুরই নিরাপত্তা নেই। এ সরকারের কাছে পুরো দেশ অনিরাপদ।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিরোধী দল নির্বাচনে জিতবে- সে আশায় গুড়ে বালি। ইভিএমে ভোট হলে, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট হলে, বিরোধী পক্ষ নির্বাচনে জিততে পারবে না। ইভিএমে যেখানেই ভোট দেওয়া হোক না কেন, নির্দিষ্ট একটি প্রতীকে ভোট পড়বে।’