জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যশোর জোনের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

যশোর জোনের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কামরুল আরিফের বিরুদ্ধে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পাঠিয়েছেন কয়েক জন ভুক্তভোগী। তাদের দাবি উত্থাপিত অভিযোগ সমুহ তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তা না হলে অস্বচ্ছল নি¤œ আয়ের মানুষ ওই অফিসে ন্যায় বিচার পাবে না।

উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো অভিযোগসমুহের মধ্যে রয়েছে লোহাগড়া উপজেলার ধোপদহ মৌজার মিস কেস নং ৪১ ও ৪২ এবং ঝিনাইদহ জেলার গয়েশপুর মৌজার মিস কেস নং ৩৯/২১ ন্যায় বিচার করা হয়নি। সর্বশেষ তিনি অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন বহুল আলোচিত ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ডুমুরতলা মৌজার ২৪৩/২০ নং মিস কেসটির বিচার নিয়ে। মামলাটি প্রায় ২৫ বছর চলমান থাকার পর চুড়ান্ত পর্যায়ে বিচারের ভার ন্যাস্ত হয় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কামরুল আরিফের ওপর। অভিযোগকারী ইউনুস আলী জানান, আলোচ্য কেসটির জমি ৯০ দশকে মাঠ জরিপে তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। প্রায় ৫৫ বছর তারা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন।

এমনকি খাজনাও পরিশোধ করেছেন। পরবর্তিতে এলাকার এক প্রভাবশালীর নজর পড়ে ওই জমির ওপর। তিনি ওই জমি বাগে নেওয়ার জন্য মামলা-মোকদ্দমা করে আসছেন। এর সাথে ওই এলাকায় বাড়ি সেটেল মেন্টের একজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। যিনি দীর্ঘদিন যশোরে কর্মরত আছেন। ইউনুস আলীর অভিযোগ ওই অফিসারই হচ্ছেন নাটের গুরু। তিনি কেসটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত বা ন্যায় বিচার থেকে বি ত করার জন্য নান কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। যার মধ্যে মারাতœক দুর্নীতি হচ্ছে ডুমুরতলা মৌজার মাঠ জরিপের মূল খসড়া গায়েব করা। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর মূল খসড়া বই উদ্ধারের নির্দেশনা দেয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অর্থাৎ খসড়া বই উদ্ধার না করেই ইউনুস আলীর মিস কেসটির বিচার শুরু করা হয়। গত ২৩ জানুয়ারি এই কেসের শুনানী গ্রহণ করেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কামরুল আরিফ।

শুনানীর প্রায় ৫ মাস পর কেসটি খারিজ করা হয়েছে বলে ইউনুস আলী জানতে পারেন। পরে তিনি কেসের নকল তুলতে গিয়ে চরম বধার সম্মুখীন হন। ইউনুস আলরি দাবি তাকে নকল না দিয়ে অযাথা হয়রানি এমনকি তার সাথে দুর্ব্যবহারও করা হয়েছে। নকল না পাওয়ায় তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে যেতে পারছেন না। এদিকে লিখিত অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলার ১২০ নং দিঘলিয়া মৌজার ৩০ নং ডিপি খতিয়ানে লাল কালি দিয়ে লেখা কেটে বেগুনি কালি দিয়ে লেখা এবং মহেশপুর মৌজার ৩৭৬ নং ডিপি খতিয়ান কাটা কাটি ও অন্যান্য মৌজার খতিয়ান ট্যাম্পারিং করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এব্যাপারে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কামরুল আরিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগে কি হয়েছে জানিনা তবে তাঁর সময়ে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্চতার সাথে করা হচ্ছে। নিয়মের কোন ব্যতয় হচ্ছে না। ইতোমধ্যে অনেকগুলো মৌজার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্ত ডুমুর তলার একটি কেস ছাড়া কোন অভিযোগ আসেনি। এটি এমন একটি অফিস যে দুপক্ষকে খুশী করা যাবে না। মামলায় যারা হারবেন তারা দোষারুপ করবেন এটিই স্বাভাবিক বিষয়। নকল প্রাপ্তির ব্যাপরে তিনি বলেন, এটি রেকর্ঢ রুমের ব্যাপার। নিয়ম মেনে আবেদন করলে নকল পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই।