জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সদরের জঙ্গল বাধাল মধ্যপাড়ার একটি বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় গৃহবধূ নুপুর আক্তার (২৮) তার শশুর আবুল হোসেন মোল্ল্যা গুরুতর আহত হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় ও শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। এই অভিযোগে কোতয়ালি থানায় সোমবার রাতে ৪ জনের নামে মামলা করা হয়। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল, মধ্যপাড়ার প্রবাসী আসাদুল ইসলাম টুটুলের স্ত্রী নুপুর আক্তার। আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার জঙ্গলবাঁধাল, মধ্যপাড়া গ্রামের রহমান মোল্যার ছেলে জাকির হোসেন, জাকির হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন, জাকির হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ সকো বিবি, রাকিব হোসেনের স্ত্রী সুবানা আক্তার রিমাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
নুপুর আক্তার মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী প্রবাসী। তিনি ও তার ছেলে মেয়ে ও শশুরকে নিয়ে জঙ্গলবাধাল, মধ্যপাড়ায় বসবাস করে। আসামীদের সাথে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের বিরোধ আছে। বিরোধের জের ধরে গত ৫ অক্টোবর সকালে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে বাদিকে ও বাদির শ^শুর আবুল হোসেন মোল্যাকে (৮৫ ) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদির শ^শুর আবুল হোসেন মোল্যা গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে জাকির হোসেনের হুকুমে ও সহায়তায় সকল আসামিরা বাদির শশুরকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে। শ^শুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। বাদি ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকেও মারপিট করে পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। বাদি ও তার শ^শুরের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা পরবর্তীতে খুন জখমের হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। বাদি গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। বাদির শ^শুর স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা গ্রহন করে। পরে থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।