যশোরে বিদ্যুতের নতুন গ্রাহক সৃষ্টির ক্ষেত্রে হয়রানীর অভিযোগ

যশোর বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ ২ এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুব ইসলামের বিরুদ্ধে নতুন ভাবে বিদ্যুত সংযোগ নিতে গ্রাহক হয়রানীসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংযোগ নিতে গেলে যেখানে ২ কিলো ওয়াট নেওয়ার নিয়মকে উপেক্ষা করে ৪ কিলো ওয়াট চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সূত্রে মতে প্রকাশ,ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (ওজোপাডিকো) লিমিটেড এ বর্তমানে কিছু অনিয়ম শুরু হয়েছে। নতুন করে বিদ্যুত নিতে যেখানে ২ কিলো ওয়াট ছিল। সেখানে ৪ কিলো ওয়াট নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সূত্রগুলো বলেছে, ১ কিলো ওয়াট লোডের ডিমান্ড চার্জ ৩০ টাকা। সেখানে ৪ কিলো ওয়াট লোডের মাসিক ডিমান্ড চার্জ ১২০ টাকা গুনতে হবে গ্রাহককে। একজন গ্রাহক মাসে নূন্যতম ৪০ ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহার করে। তাকে চার্জ ছাড়ায় ৩৫০ টাকা গুনতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন গ্রাহকের দ্বারা সংযোগ নেওয়া কি সম্ভব?
অপর একটি সূত্র বলেছে, বর্তমানে একজন নতুন গ্রাহক হিসেবে সংযোগ নিতে ৪ কিলো ওয়াটের ক্ষেত্রে ১৬০০ টাকা,জামানত এবং প্রাককলিত ২২শ’ টাকা মিটারের মূল্য ১৪শ’ টাকাসহ সাড়ে ৫হাজার টাকা ছাড়াও অফিসে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া বিদ্যুতের সংযোগ ফাইল নড়ে না। যেখানে বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইস্তেহারে কোন মানুষকে অন্ধকারে থাকতে দেবেনা। সেখানে এই বিভাগে কতিপয় কর্মকর্তা যা ইচ্ছে তাই করছে। যার ফলে গরীব মানুষের পক্ষে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ চরমভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সূত্রগুলো বলেছেন, বর্তমানে বিদ্যুত বিতরণ বিভাগÑ২ এ কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুব ইসলাম দরিদ্র এবং বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার লোকদের বিদ্যুতের সংযোগ নিতে আগ্রহ হলে তাদেরকে ৪ কিলো ওয়াট চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৪ কিলো ওয়াট না নিলে নতুন বিদ্যুতের সংযোগ মিলছেনা। অপর একটি সূত্র বলেছে, নিন্ম আয়ের মানুষের কাছ থেকে আয়কর সার্টিফিকেট না পেলে অনলাইন হচ্ছে না বলে হয়রানী করেন।

নিন্ম আয়ের মানুষের কাছে জমির দলিল ও পর্চা আছে। তবে জমির নাম পত্তন না থাকায় তার বিদ্যুত সংযোগের আবেদন ফেলে রাখা হচ্ছে। তবে ঘুষ দিলে এখানে সব কিছু সম্ভব বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অফিসে কর্মরত একজন কর্মচারী অকোপটে স্বীকার করেন। এব্যাপারে ওই কর্মকর্তার কাছে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন। বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ সৃষ্টি হওয়ার পর আইডি কার্ড ও ছবি হলে বিদ্যুত সংযোগ পেতো। সেখানে বিভিন্ন কৌশলে গ্রাহক হয়রানী এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুত বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যশোরের বিভিন্ন পেশার মানুষ।