জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুই সন্তানসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক নারী। তবে লোকজনের বাঁধার মুখে আগুন জ্বালাতে ব্যর্থ হন তিনি। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বসতভিটা বেদখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শিরিন খান (৩৫) নামের ওই নারী সন্তানদের নিয়ে শনিবার প্রকাশ্যে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছিলেন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া একাধিকবার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়েও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিরিন খান জানান, তার বাবার বাড়ি বরিশাল জেলায়। শ্বশুরবাড়ি ঢাকার মাতুইয়ালে। তবে স্বামী সন্তান নিয়ে বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁওয়ে বসবাস করছেন। সেই বসতভিটা নিয়েই ঝামেলায় পড়েছেন তিনি। এ কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছিলেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিরিন বলেন, জমি রক্ষার জন্য গত আট মাস ধরে কতজনের কাছে গেছি হিসেব নেই। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বিচার না পেয়ে অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।
শিরিনের স্বামী জোনায়েদ আহম্মেদ অসুস্থ। জমি নিয়ে ঝামেলার জেরে ৪-৫ দিন আগে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান বলে জানান শিরিন।
শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বলেন, ওই নারী এবং তার সন্তানদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারা তিনজনই ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। এজন্য জরুরি বিভাগে নিয়ে তাদের ওয়াশ করানো হয়েছে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিকুল হক বলেন, ওই নারী এবং তার দুই সন্তানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান জাকারিয়া বলেন, একটি চক্র শিরিনকে তার জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। তার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সমাধান হয়নি।
মন্তব্য নেওয়ার জন্য হান্নানের সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।